দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১৪অক্টোবর : ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের আঘাতে লন্ডভন্ড ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা রাজ্য৷ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে৷ এদিকে কতর্ৃপক্ষ ক্ষতিগ্রসত্ম প্রায় চার লাখ লোককে ত্রাণ দেয়ার প্রচেষ্টা আরো জোরদার করেছে৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বন্দরনগরী বিশাখাপত্তনমসহ ক্ষতিগ্রসত্ম এলাকা পরিদর্শনে গেছেন৷ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ঘোষণা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷ এতে বন্যা দেখা দেয়ারও আশংকা করা হচ্ছে৷রোববারের ঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন এলাকায় মারা গেছে ২৪ জন৷ এর মধ্যে কেবলমাত্র বিশাখাপত্তনমে মারা গেছে ১৫ জন৷ এছাড়া ঝড়ে বন্দর ৰতিগ্রসত্ম হয়েছে মারাত্মকভাবে৷ গাছপালা, বিদু্যত্ ও টেলিফোনের খুঁটি উপড়ে গেছে৷ ধ্বংস হয়েছে ছয় হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি৷
উদ্ধারকর্মী ও সৈন্যরা রাসত্মায় পড়ে থাকা গাছ ও খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করেছে৷ বিদু্যত্ পরিস’িতি স্বাভাবিক করার কাজও শুরু করা হয়েছে৷ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমান ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে বিমান বাহিনী ক্ষতিগ্রসত্ম এলাকায় খাবার প্যাকেট ফেলা শুরম্ন করেছে৷ এদিকে বিশাখাপত্তনমের বিমানবন্দর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রসত্ম হওয়ায় তা বন্ধ রয়েছে৷ ঝড়ে বিমানবন্দরের ছাদের একাংশ উড়ে গেছে এবং রানওয়ে পানির নিচে তলিয়ে গেছে৷এদিকে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য পেট্রল স্টেশনে লোকজন লম্বা লাইন ধরে অপেৰা করছে৷ সোমবার এসব স্টেশন খুলে দেয়া হয়৷ ঝড়ে অনেক স্টেশন ৰতিগ্রসত্ম হওয়ায় জ্বালানি সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়৷অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশাখাপত্তনম আমার খুবই পছন্দের শহর৷ কিন্তু এর বর্তমান দশা দেখে আমি ব্যথিত৷একজন উদ্ধারকর্মী বলেন, সুন্দর এ নগরীর পুনর্নির্মাণে আমাদের অনত্মত একশ’ বছর লাগবে৷এদিকে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে৷ এছাড়া রয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট৷