নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কোন ক্ষমতাবলে মন্ত্রী পদের সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুইয়া। নোটিশে বলা হয়, আপনাকে এ মর্মে নোটিশ দেয়া হচ্ছে যে, বিগত ৫ জানুয়ারি ২০১৪ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাদারীপুর-২ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পরর্বতীতে একই বছরের ১২ জানুয়ারি নৌমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
যেহেতু শ্রমিক সংগঠন একটি কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ), যা শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করার নিয়ম রয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী হয়েও আপনি সিবিএ এর কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যা অসাংবিধানিক। আপনার সভাপতি পদে থাকা কেন বেআইনি ও নৈতিকতা-বিরোধী হবে না, তা নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় সংবিধান লঙ্ঘন ও শপথ ভঙ্গের অভিযোগে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গেলো রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে ঝরে যায় দুই শিক্ষার্থীর প্রাণ। তারা হলেন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মীম ও আব্দুল করিম। এরপর তার সহপাঠীরা আন্দোলনে নামেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন পুরো রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে প্রায় শতাধিক গাড়ি ভাংচুর হয়। পাশাপাশি কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী হাসিমাখা মুখে ভারতের সঙ্গে তুলনা করে জবার দেয়ায়, সমালোচনার মুখে পড়েন। এতে শিক্ষার্থীরা মন্ত্রীর পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন।