দৈনিকবার্তা-লৌহজং(মুন্সীগঞ্জ), ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫: শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটে অচলাবস্থাশেষে পুনরায় ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ নৌরুটে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ড্রেজিং চ্যানেল উন্মুক্ত করার পরপরই এ চ্যানেলে ফেরী চলাচল শুরু হয়।তবে এ ড্রেজিং চ্যানেল দিয়ে এ রুটের ৬টি ডাম্ব ও ৩টি রো রো ফেরীসহ মোট ১৭টি ফেরী চলাচল করছে।বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার আহমেদ আলী এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।এদিকে আগের চ্যানেল দিয়ে ফের ফেরী চলাচল শুরু হওয়ায় পদ্মা পারাপারের যাত্রীসহ আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এর আগে সম্প্রতি পদ্মায় তীব্র ¯্রােত আর ভয়াবহ নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বন্ধপ্রায় হয়ে পড়ে শিমুলিয়া নৌরুটের ফেরী চলাচল।এ সময় দু’তিনটি ছোট কেটাইপ ফেরী ব্যতীত প্রায় সবকটি ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় টানা ২৭ দিন ধরে ঢাকা মাওয়া খুলনা মহাসড়ক দিয়ে রাজধানীর সাথে দক্ষিণবঙ্গের ২৩টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল।একপর্যায়ে আসন্ন ঈদুল আজাহাকে সামনে রেখে এ নৌরুটে দ্রুত নাব্যতা সঙ্কট নিরসনে ড্রেজিংয়ের কারণে ১১সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫দিন ফেরী চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।এতে করে ঐ ৫দিন ধরে ড্রেজিং চ্যানেলে ফেরী চলাচল সম্পূর্ণ রাখে মাওয়া ফেরী কর্তৃপক্ষ।এরই মধ্যে সিনোহাইড্রো কোম্পানীর একটি ড্রেজারসহ বিআইডব্লিউটিএর ২টি ও ভাড়ায় আনা একোয়া মেরিনের আরো ২টি প্রাইভেট ড্রেজার পলি অপসারণ কাজ চালায়। বিআইডব্লি¬উটিএর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী(ড্রেজিং)সাইদুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) সুলতান উদ্দিন আহমেদ জানান,লৌহজং টার্নিংয়ে ১২০০ মিটার নাব্যতা সঙ্কট পয়েন্টে পলি অপসারণ কাজ সম্পন্ন করার পর প্রশস্ত চ্যানেলটি উন্মুক্ত করা হয়।এর পরপরই বিকেল থেকে এখান দিয়ে ডাবল ওয়ে ফেরী চলছে।