download_3

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫: গণআন্দোলনে প্রায় তিন দশকের শাসককে হটানোর পর নেতা নির্বাচনে ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে বুরকিনা ফাসোর অন্তবর্তী সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী৷ বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বেতারে প্রচারিত এক ঘোষণায় সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অবৈধ’ শাসনের অবসান ঘটাতে অন্তবর্র্তী সরকার বিলুপ্ত করা হয়েছে, তার জায়গায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়েছে ‘ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল৷বুধবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢুকে অন্তবতর্ী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটক করে দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড৷অন্তবর্তী সরকারের স্পিকার শেরিফ সাই এ ঘটনাকে স্পষ্ট সামরিক অভু্যত্থান বলেছেন৷এ খবরে উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে অন্তবতর্ী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন৷জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আটক সব সরকারি কর্মকর্তার মুক্তি চেয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে৷

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের এই সদস্যরা বুরকিনা ফাসোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্লেইস কমপাওরের অনুগত, যিনি গণআন্দোলনের মুখে গত বছর নভেম্বরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন৷ এর আগে ২৭ বছর দেশ শাসন করেন তিনি৷ওই ঘটনার পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়, যার প্রেসিডেন্ট হন মিশেল কাফান্ডো,ইয়াকুবা আইজাক জিডা হন প্রধানমন্ত্রী৷আগামী ১১ অক্টোবর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা ছিল তাদের৷আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর পক্ষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামাদু বাম্বা টেলিভিশন ও বেতারে ওই ঘোষণা পাঠ করেন৷তাতে নির্বাচন বিধির সমালোচনা করা হয়৷ সাবেক প্রেসিডেন্টের দলের সদস্যদের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে নির্বাচন বিধিমালায়৷

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামাদু বাম্বা ঘোষণায় বাম্বা বলেন, একটি যৌক্তিক, সুষ্ঠু ও সমতার প্রক্রিয়া’ শুরু হয়েছে, যা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে নিয়ে যাবে৷বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটকের খবরে বুধবার রাজধানী উয়াগাদুগু প্রধান চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ প্রেসিডেনশিয়াল গাডের্র সদস্যরা বিক্ষোভ থামাতে গুলিও ছোড়ে৷রাস্তায় প্রচুর সেনা সদস্য৷ অন্তবতর্ী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কোনো খবর নেই৷ তারা জীবিত না মৃত সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না, উয়াগাদুগু থেকে ফ্যানি নোয়ারো নামের এক সাংবাদিক আল জাজিরাকে বলেছেন৷এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে শতাধিক মানুষ উয়াগাদুগুর স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে সেনা সদস্যরা৷