দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল), ২৪ আগস্ট ২০১৫: সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকা সত্বেও জেলার অবহেলিত মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদীর মৃধারহাট ও ভেদুরিয়া এলাকায় আজো নির্মিত হয়নি ফেরীঘাট। ঢাকা, শরীয়তপুরসহ অন্যান্য জেলার সাথে মুলাদীবাসীর সহজ যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনমানের উন্নতি সাধনের জন্য ঘাট নির্মানসহ ফেরী চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী (প্রয়াত) আব্দুর রাজ্জাক।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক মন্ত্রীর প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী মুলাদীর মৃধারহাট অংশে ১১কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং সড়ক, ব্রীজ, কার্লভাট নির্মান করা সত্বেও দীর্ঘদিনেও ঘাট নির্মানসহ ফেরী চলাচল শুরু করেনি। ফলে একমাত্র সড়কপথে সহজ যোগাযোগের অভাবে এখনও আলোর নিচে অন্ধকারে রয়ে গেছেন মুলাদীর প্রত্যন্ত এলাকার কয়েক লাখ বাসিন্দা। তাদের জীবনমানের হয়নি কোন উন্নয়ন। যাতায়াতের জন্য একমাত্র নদীপথই তাদের ভরসা। ভূক্তভোগীরা জরুরি ভিত্তিতে ফেরীঘাট নির্মানসহ ফেরী চলাচলের মাধ্যমে অবহেলিত জনপদের লাখো বাসিন্দাদের আলোর পথে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, নৌ-মন্ত্রী, ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মুলাদীর চরকালেখা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বজলুর রহমান খান জানান, মুলাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি ইউনিয়ন ও শরীয়তপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঘোষেরহাটসহ অন্যান্য এলাকার কয়েক লাখ বাসিন্দাদের ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার সাথে যোগাযোগের প্রধান বাঁধা জয়ন্তী নদীর মুলাদীর মৃধারহাট ও ৩৬ ভেদুরিয়া নদীরস্থান। তিনি আরও জানান, ওইস্থানে ঘাটসহ ফেরী চলাচলের ব্যবস্থা করলে এতদাঞ্চলবাসী মৃধারহাট থেকে ৩৬ ভেদুরিয়া ঘাট হয়ে শরীয়তপুর থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। আর এ দাবিতে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘাট নির্মানের মাধ্যমে ফেরী চলাচলের জন্য ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে মানববন্ধন কর্মসূচী পালনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠনো হয়েছে।