Rajshahi Eid Spechial Train News 9-7-15দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০৯ জুলাই ২০১৫: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাজশাহী-ঢাকাসহ অন্য কোনো রুটে এবারও স্পেশাল ট্রেন নেই। তবে যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে ঈদের তিন দিন আগে থেকে খুলনা-ঢাকা ও পার্বতীপুর-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল নামে এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। এছাড়া জোনের বিভিন্ন রুটের প্রতিটি ট্রেনে বাড়তি ২৮টি কোচ সংযোজনের কথা জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।ফলে বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে কোনো স্পেশাল ট্রেন না থাকায় নিয়মিত রেল যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে থাকা ঘরমুখো মানুষ ও তাদের আত্মীয়-স্বজন এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। অনেকেই টিকেট না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন।পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল করিম জানান, ইচ্ছা থাকলেও কেবলমাত্র জনবল ও কোচ সঙ্কটের কারণে রাজশাহী-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। তবে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ সামলাতে উপযুক্ত সময়ের মধ্যেই বাড়তি কোচ সংযোজনের করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল করিম বলেন, এই রুটে সম্ভব না হলেও খুলনা-ঢাকা রুটে এবং পার্বতীপুর-ঢাকা রুটে এক জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন থাকছে। আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। আর রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলরত সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধূমকেতু আন্তঃনগর ট্রেনের প্রতিটি সঙ্গে ৯২ আসনের একটি করে অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া উল্লেখিত ট্রেনগুলোসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলরত পশ্চিম রেলের ২৮টি ট্রেনে ২৮টি বাড়তি বগি যুক্ত করা হবে ঈদ উপলক্ষে।আবদুল করিম জানান এবার ঈদে পশ্চিম রেলের যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং ছাড়াও থাকছে বিশেষ টহল। রেল স্টেশনের নিরাপত্তায় রেল পুলিশ, জিআরপি পুলিশের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে থাকছেন র‌্যাব সদস্যরাও। টিকেট কালোবাজারি, প্রতারণা, যাত্রী হয়রানিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক সন্ত্রাসী তৎপড়তা বন্ধে তারা কাজ করবেন। এছাড়া যাত্রালীন দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যবেক্ষণ চলছে রেলপথে। বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে ঝুকিপূর্ণ সেতুগুলো।

তিনি আরও বলেন, বর্ষার কারণে এবার আগে থেকেই রেল লাইন নিয়মিত সংষ্কার কাজ চলছে। তাই ঈদের বাড়তি চাপেও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই। তবে ঈশ্বরদী-উল্লাপাড়া সেকশনের কৈডাঙ্গা ও শান্তাহার-জয়পুরহাট সেকশনের হলহলিয়া ব্রিজ দু’টি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে।পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খায়রুল আলম বলেন- বর্তমানে ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস নামে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। তাই এই রুটে স্পেশাল ট্রেনের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে ঈদের বাড়তি চাপকে মাথায় রেখে প্রতিটি ট্রেনের সাথে বগি বাড়িয়ে লম্বা করে দেওয়া হবে। বাড়তি চাহিদার জন্য এটিই যথেষ্ট। পশ্চিমাঞ্চল রেলে আন্তঃনগর, লোকাল ও মেইল ট্রেন মিলিয়ে অতিরিক্ত ২৮টি কোচ সংযুক্তের কথাও জানান তিনি।