150618025813_copa_brazil_colombia_640x360_bbc_nocredit

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ জুন: কলম্বিয়ার কাছে ১-০গোলে পরাজিত হয়ে কোপা আমেরিকায় গ্র“প পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হোচট খেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তবে এই পরাজয়ের পাশাপাশি দলীয় তারকা নেইমারের লাল কার্ড প্রাপ্তি বাড়তি দুঃশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কার্ডের কারনে গ্র“পে শেষ ম্যাচে রোববার ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না সেলেসাও অধিনায়ক।ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পরে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরোধের এক পর্যায়ে নেইমার উত্তেজিত হয়ে কলম্বিয়ার গোলদাতা জেইসন মুরিলোকে মাথা দিয়ে আঘাত করলে রেফারী লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হন। গ্র“প-সি’র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শেষে কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার কার্লোস বাক্কাও এই বিরোধের কারণেই লাল কার্ড পেয়েছেন। নেইমারের অবশ্য পরপর দুই ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড পাবার কারণে আগেই ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে খেলা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। গ্র“প- সি থেকে এখন ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও ভেনিজুয়েলার সমান তিন পয়েন্ট সংগৃহীত হওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে তিনজনের যাবারই সম্ভাবনা থাকলো।নেইমারের ব্রাজিল এবং বার্সেলোনা সতীর্থ ডানি আলভেস পরাজয়ের পরে চিলিয়ান রেফারী এনরিকে ওসেসের সমালোচনা করে বলেন, রেফারীর অবশ্যই মাথায় থাকা উচিত যে তারাই ম্যাচের সবকিছু নয়, তাদের অবশ্যই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের জন্যই সেখানে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকায় আগেও আমাদের সাথে এমনই হয়েছে, এখানে সবাই ব্রাজিলের বিপক্ষে। নেইমারকে উত্তেজিত করার পিছনে কলম্বিয়ান খেলোয়াড়দেরও সমালোচনা করেছেন আলভেস। বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াইয়ে এই কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই নেইমার পিঠে আঘাত পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছিলের। এরপরেও দীর্ঘদিন তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। আলভেস বলেন, তারা নেইমারের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানে, পুরো ম্যাচেই তারা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। তারা তাকে উত্তেজিত ও নার্ভাস করার চেষ্টা করেছে।

কলম্বিয়ার রিয়াল মাদ্রিদ তারকা হামেস রদ্রিগেজ বলেছেন, আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট গেম প্ল্যান ছিল এবং আজ সেটা কাজে লেগেছে। চারদিন আগে আমরা ভাল খেলেও ভেনিজুয়েলার কাছে পরাজিত হয়েছিলাম। আজও আমরা ভাল খেলেই ব্রাজিলকে পরাজিত করেছি, কখনো কখনো ফুটবলে এমন হতেই পারে।নিজেদের রক্ষনভাগের উপর ভর করে খেলতে নামা কলম্বিয়া প্রথমার্ধের প্রায় অনেকটাই সময়ই ব্রাজিলকে রুখে দিয়েছিল।ডেভিড লুইজের স্থানে কাল সেলেসাওদের মূল একাদশে সেন্টার-ব্যাকে খেলতে নেমেছিলেন থিয়াগো সিলভা।বেশ কয়েকবারই তার কল্যানে কলম্বিয়ার আক্রমনভাগকে হতাশ হতে হয়েছে। কলম্বিয়াও অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি। মধ্যমাঠে প্রায়শই ব্রাজিলের আক্রমনকে একাই পরাস্ত করেছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেজ। এরপর প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে কলম্বিয়া ধীরে ধীরে প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩৬ মিনিটে মিডফিল্ডার হুয়ান কুয়াডারডোর ফ্রি-কিক ব্রাজিলিয়ান রক্ষনভাগ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলেও সুযোগ সন্ধানী মুরিলো লো শটে জেফারসনকে পরাস্ত করেন। ৪৩ মিনিটে চেলসি তারকা কুয়াডারডো ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হন। বিরতির ঠিক আগে ব্রাজিল অবশ্য সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল। ডানি আলেভেসের ডানদিক থেকে ক্রস থেকে নেইমারের ডাইভিং হেড কোনমতে রক্ষা করেন কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনা। ওসপিনার আটকে দেয়া সেই বলে হাত লাগার কারনে নেইমারকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়।দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। ফ্রেডের স্থানে মাঠে নামানো হয় লিভারপুলের এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফিলিপ কটিনহোকে। কিন্তু ৫৮ মিনিটে সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন বুন্দেলিগার স্ট্রাইকার রবার্তো ফারমিনো। ওসপিনা গোলপোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসলে প্রায় ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন হফেনহেইমের এই স্ট্রাইকার।