দৈনিকবার্তা-কক্সবাজার, ১২ মে: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মিয়ানমার সীমানার কাছাকাছি এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় একটি ট্রলার থেকে দেড় শতাধিক মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁদের আটক করা হয়। কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার কাজী ফরিদুজ্জামান জানান, উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্রায় আট নটিক্যাল মাইল পশ্চিম-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার-সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্রলারটি আটক করা হয়। ধারণা করে হচ্ছে, ওই ট্রলারে দেড় শরও বেশি যাত্রী আছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁদের নিয়ে কোস্টগার্ডের একটি দল সেন্টমার্টিনের দিকে রওনা দিয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, নগরীর হালিশহর থানার বড়পুল এলাকা থেকে তিন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি)। সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয়।আটক তিনজন হলেন- আলী আকবর(৩৯) বাহার উদ্দিন(২৮) ও শাহ বায়েজিদ উল্লাহ(২৮)। তাদের কাছ থেকে ৩৩টি পাসপোর্ট, জাল ভিসা, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনারের সিল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।সিআইডি’র চট্টগ্রাম জোনের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন জানান, তিন মানব পাচারকারীর কাছে ৩৩টি পাসপোর্ট ও জাল ভিসা পাওয়া গেছে। উদ্ধার হওয়া পাসপোর্টের অধিকাংশ গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও মাদারীপুরের বাসিন্দাদের। উত্তরাঞ্চলের অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ পথে লিবিয়া পাচার করে তারা। বিনিময়ে তারা প্রতিজনের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করে।
এ চক্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক লোক যুক্ত রয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে চট্টগ্রামে জড়ো করে। পরে অবৈধ পথে দুবাই পাচার করে। সেখান থেকে পাচারকারীরা অভিবাসীদের লিবিয়ায় নিয়ে যায়। অসহায় মানুষদের কাছ থেকে পাচারকারীরা প্রথমে কম টাকা আদায় করলেও লিবিয়া পৌঁছাতেই তাদের আসল রূপ বেরিয়ে পড়ে। সেখানে অভিবাসীদের জিম্মি করে দেশে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে পাচারকারী দলের সদস্যরা।এ চক্রের আরো অনেক সদস্য রয়েছে। কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তারা একমাস ধরে চট্টগ্রামকে রুট হিসেবে বেছে নিলেও দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি মানবপাচারে যুক্ত বলে জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন।