news-photo-thumbnailদৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ১৫ ফেব্রুয়ারি: সরকারের সকল সুযো-সুবিধায় পরিচালিত নীলফামারীর একমাত্র প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি নামে আছে কিন্ত কাজে নেই। এ জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুঁটিমারি ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ বিদ্যালয়টিতে ১২ জন শিক্ষক দিয়ে নামমাত্র পরিচালনা করে সরকারের সমুদয় অনুদান হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে দেখা যায়, প্রস্ততিমূলক, প্রাক- প্রাথমিক, প্রাথমিক, বৃত্তিমূলক ও গৃহভিত্তিক ৫টি শ্রেনীবিন্যাসে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়।

যা চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০১ সালের শেষের দিকে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য (বর্তমানে প্রয়াত) মিজানুর রহমান চৌধুরী জামায়াত- শিবির অধ্যুষিত কালিকাপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। পাশাপাশি এমপিও ভুক্তের মাধ্যমে সরকারি সকল সুযোগ- সুবিধায় আওতায় নিয়ে আসেন। এলাকার সচেতনমহল অভিযোগ করেন, শিক্ষক নিয়োগে প্রাধান্য দেয়া হয় দলীয় কর্মীদের। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ শিক্ষক জামায়াত সমর্থক ও একজন শিক্ষক বিএনপির সমর্থক। বর্তমানে খাতাপত্রে বিদ্যালয়ে ৫টি শ্রেনীবিন্যাসে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ৭২ ছাত্র ও ৪৪ জন ছাত্রীসহ মোট ১১৬ শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।

কিন্ত বাস্তবে ওই বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায়না। এলাকাবাসী জানায়, সাপ্তাহিক ছুটি বাদে প্রতিদিন বিদ্যালয়টি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থী না থাকায় শিক্ষকরাও নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। বাইসাইকেলে কিছু শিক্ষক মাঝে-মধ্যে এসে রুমের ভেতর গল্পগুজব করে চলে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। সরজমিনে পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, অবরোধ ও হরতালের কারণে শিক্ষার্থী আসতে পারেনি। এখানকার সকল শিক্ষক জামায়াত ও বিএনপি সমর্থক জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে যারা চাকরি করছেন তারা কোন দলের সঙ্গে জড়িত নয় এবং কোন রাজনীতি করেন না।