গাজীপুরে রান্না করার সময় গ্যাসের বিষ্ফোরণে এক নারী নিহত হয়েছে। এঘটনায় তিন পরিবারের শিশু ও অন্তসত্ত্বা নারীসহ আরো চারজন দগ্ধ হয়েছে। মহানগরীর বাসন থানাধীন মোগরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বাসন থানার এসআই সজিব খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সীমা আক্তার (৩০) ময়মনসিংহ জেলা সদরের ঘাগড়া এলাকার চান মিয়ার মেয়ে ও আলহাজ উদ্দিনের স্ত্রী।
বাসন থানার এসআই সজিব খান ও স্থানীয়রা জানান, মোগরখালের মোল্লা মার্কেট এলাকার জনৈক নুরুল আমিনের বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাড়া থাকেন কয়েক শ্রমিক। রবিবার সন্ধ্যার পর কাজ শেষে তারা বাসায় ফিরেন। রাতে রান্না করার জন্য চূলা জ¦ালাতে দিয়াশলাই জ¦ালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে। এসময় আগুনে দগ্ধ হন সীমা আক্তার (৩০), পারভিন আক্তার (৩৫) ও তার শিশু ছেলে আয়ান (দেড় বছর), তাসলিমা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে তানজিলা বেগম। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে দগ্ধ ওই ৫জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গার্মেন্টস কর্মী আলহাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা আক্তার সোমবার দুপুরে মারা যান। তার শরীরের ৯০ ভাগ দগ্ধ হয়েছিল।
এসআই সজিব খান আরো জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে নির্গত হওয়া গ্যাস ঘরে জমে ছিল। রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ¦ালানোর সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে এসে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে পারভিন আক্তার ৩২ শতাংশ, তানজিলা বেগম ৯০ শতাংশ, তাসলিমা বেগম ৯৫ শতাংশ এবং শিশু আয়ানের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে চিকিৎসকগণ জানিয়েছেন। দগ্ধ তাসলিমা বেগম ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।