মৌলভীবাজার জেলা সদরে রবিবার মধ্যরাতে এক তরুণ আইনজীবী খুন হয়েছেন। নিহতের নাম সুজন মিয়া (৩৭)।

তিনি সদর উপজেলার হিলালপুর খিদির রোডের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং জেলা বারে সদ্য যোগ দেওয়া একজন আইনজীবী। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে কে বা কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

নিহত সুজন মিয়ার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ শিবলু মিয়া।

তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, নিহতের গলার নিচে গভীর এবং অগভীর দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো এজাহার পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাত আনুমানিক ১১টায় আইনজীবী সুজন মিয়া পৌরসভার সামনে একটি ফুসকার দোকানে বসে ফুসকা খাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে তাকে ছুরিকাহত করে পালিয়ে যায়। এতে আইনজীবী সুজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ঘটনার পরপরই শত শত মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসেন। এ সময় নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল এলাকার বাতাস ভারী হয়ে আসে।