উদ্ধার

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১০ ডিসেম্বর: গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রিয় কারাগারের অস্ত্রাগার থেকে খোঁয়া যাওয়া চাইনিজ রাইফেলটি তিন দিন পর একটি ৰুদে বার্তার সূত্র ধরে বুধবার জেলখানার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ এঘটনায় জড়িত আরিফুল ইসলাম (২৫) নামের এক কারারৰীকে কর্তৃপৰ আটক করেছে৷ তার বাড়ি মৌলভী বাজার জেলায়৷ অস্ত্র খুঁজে পাওয়ায় এক কারারৰীকে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কৃত করেছে কর্তৃপৰ৷ অস্ত্র খোঁয়া যাওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে দু’টি তদনত্ম কমিটি গঠণ করা হয়েছে৷ তদনত্ম কমিটির প্রধান ডিআইজি (প্রিজন) মো. বজলুর রহমান জানান, বুধবার সকালে কারাগারের জেলার জান্নাতুল ফরহাদের মোবাইলে খোঁয়া যাওয়া অস্ত্রের খোঁজ জানিয়ে মৌলভী বাজার জেলা এলাকার একটি মোবাইল (বাংলা লিংকের নম্বর) থেকে একটি ৰুদে বার্তা আসে৷ এ বিষয়টি তদনত্ম কমিটিকে জানানো হয়৷ পরে ওই বার্তার সূত্রধরে সকাল সাড়ের ১১টার দিকে খোঁয়া যাওয়া অস্ত্রের সন্ধানে কারাগারের ব্যারাকসংলগ্ন পশ্চিম পাশ্বর্ের একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ২৫/৩০ জন কারারক্ষীকে তলস্নাশীর জন্য নামানো হয়৷ তলস্নাশীর এক পর্যায়ে ওই পুকুরেই খোঁয়া যাওয়া চাইনিজ রাইফেলটি খুঁজে পান আল আমিন নামে এক কারারক্ষী৷ রাইফেলটি উদ্ধারের পর তাত্‍ক্ষণিকভাবে কারারক্ষী আল আমিনকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেন কর্তৃপক্ষ গঠিত তদনত্ম কমিটির প্রধান ডিআইজি মো. বজলুর রহমান এবং হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রিয় কারাগারের সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান৷ অস্ত্র উদ্ধারের পর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রিয় কারাগারে কর্মরত মৌলভী বাজার জেলার সকল কারারৰীদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে কারারৰী আরিফুল ইসলাম (২৫) ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে৷ পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদকালে কর্তৃপৰকে সে জানায় মৌলভী বাজার এলাকার তার এক ভাগ্নের মোবাইলের মাধ্যমে ওই বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল৷ তবে কেন বা কি কারনে সে অস্ত্রটি লুকিয়েছিল সে ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ আরিফুল ইসলাম ২০০৮ সালে চাকুরীতে নিয়োগ পায়৷ সে গত ২০১২ সালের ৭ ফেব্রম্নয়ারি হতে এ কারাগারে কর্মরত আছে৷ হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রিয় কারাগারের সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সরকার ও কারাগারের বর্তমান সুশৃঙ্খল নানা কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে৷ তবে এব্যাপারে ব্যাপক তদনত্ম চলছে৷ অস্ত্র খোঁয়া যাওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে কারাগারের তিন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাসত্ম করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গতঃ গত রবিবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুরস্থিত হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্ত্রাগারে অস্ত্র গণনার একটি রাইফেল পাওয়া যায় নি৷ অস্ত্র খোঁয়া যাওয়ার ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপৰ জয়দেবপুর থানায় জিডি করে৷ এ ঘটনা তদনত্মে ঘটনার রাতেই রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) মো. বজলুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদনত্ম কমিটি গঠণ করা হয়৷ এছাড়াও ওই ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পৰ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের অতিরিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোসত্মফা কামালকে প্রধান করে দুই সদস্যের অপর একটি তদনত্ম কমিটি গঠন করা হয়৷ এছাড়াও অস্ত্র খোঁয়া যাওয়ার ঘটনায় অস্ত্রাগারের প্রধানসহ তিন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাসত্ম করা হয়৷ বরখাসত্মকৃতরা হলো, কারারক্ষী মো. সিরাজ হাওলাদার, তৌহিদুল ইসলাম ও এহসানুল হক৷