দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭নভেম্বর: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন,সরকারের মাদকের বিরম্নদ্ধে জিরো টলারেন্সের কারণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷তিনি সোমবর সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের পক্ষে সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা সেবার জন্য ঢাকার তেজগাঁওয়ে বর্তমানে ৪০ শয্যাবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে৷ উক্ত চিকিত্সা কেন্দ্রকে ২৫০ শয্যায় (চিকিত্সা শয্যা ১০০ ও পুনর্বাসন শয্যা ১৫০) উন্নীতকরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷ ইতোমধ্যে অবকাঠামোগত সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ সমপ্রসারিত কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের বর্ধিত জনবল কাঠামোর প্রসত্মাবটি বাসত্মবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে৷
আমির হোসেন আমু বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে মাদকাসক্তদের সরকারিভাবে চিকিত্সা প্রদান ও পুনর্বাসন অব্যাহত রয়েছে৷ এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসনের জন্য অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত ১০৮টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে মাদকাসক্তদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে৷তিনি বলেন, জেলখানাগুলোতে মাদকাসক্তদের চিকিত্সা ব্যবস্থা চালু এবং তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে মূল শ্রোতধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মোট মাদকাসক্তের সংখ্যা কত এবং মাদকাসক্তরা বছরে কত টাকার মাদক ক্রয় করছে এ ধরনের কোন সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই৷ এ বিষয়ে কোন গ্রহণযোগ্য সার্ভেও হয়নি৷শিল্পমন্ত্রী বলেন, মাদক ক্রয়ের জন্য মাদকাসক্তরা একটা বড় অংকের অর্থ ব্যয় করছে৷ মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের আসক্তি নিরাময় এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূল শ্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে এ প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে৷ বর্তমান সরকার এটা করতে বদ্ধপরিকর৷
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, চালু হওয়ার পর গত ৫ নভেম্বর পর্যনত্ম প্রায় ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৯টি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইসু্য করা হয়েছে৷তিনি সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের পক্ষে সরকারি দলের মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে আরো জানান বর্তমানে দৈনিক ১৫ হাজার এমআরপি প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট দফতরের মাধ্যমে গ্রাহককে দেয়া হচেছ৷
তিনি বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তি নির্ভর চলমান প্রক্রিয়া৷ পদ্ধতিগত কারণে অনেক সময় পাসপোর্ট প্রিন্ট হওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ডাটা বা তথ্য প্রেরণ করা হয়৷ এর ফলে ওই আবেদনসমূহ প্রিন্ট হওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগ পর্যন্ত আটকে রয়েছে বলে মনে হতে পারে৷ প্রকৃতপক্ষে পাসপোর্ট প্রিন্টিং-এর জন্য অপেক্ষমান থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷
সরকারি দলের ফরিদুল হক খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে একজন নাগরিকের বেনামে একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের কোন সুযোগ নেই৷ পাসপোর্ট আবেদনকারী যাবতীয় তথ্যাদি বিশেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদসহ অন্যান্য তথ্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরেই এমআরপি প্রদান করা হয়৷
তিনি বলেন, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে সঠিকতা যাচাই করে এমআরপি প্রদান করা হয়ে থাকে৷তিনি বলেন, এছাড়া এমআরপি প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক আবেদনকারীর হাতে আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করা হয়, যা অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে ডুপ্লিকেশনের কোন সুযোগ নেই৷ ফলে এক ব্যক্তির একাধিক বা বেনামে পাসপোর্ট করা সম্ভব নয়৷