
বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী কর্তৃক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে ও নাশকতায় ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নাশকতায় রেলওয়ের ক্ষতিগ্রস্ত লোকোমোটিভ, কোচ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাসদের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান মুজিবুল হকে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার নির্দেশে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। তাদের হামলায় রেলওয়ের সাতজন কর্মী ও দুজন আনসার সদস্য নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ সব ঘটনায় ৬২টি মামলা হয়েছে এবং ২৪৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ওই চক্র পাকিস্তানি স্টাইলে মানুষ হত্যা ও জনগণের সম্পদের ক্ষতি সাধন করে চলেছে। যা মোকাবিলায় সরকার সতর্ক রয়েছে। আওয়ামী লীগের নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক বলেন, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে রেলওয়ের লোকসান ছিল ৮৭৯ কোটি ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগের অর্থবছরে এই লোকসানের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১১০ কোটি ৫২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য রেলেও এই ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সরকারী দলের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের জনবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুটি পুলিশ সুপারের পদসহ এক হাজার ৪৪১টি জনবল বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুতই তা আনুমোদিত হবে।