গাজীপুরে এক দম্পতিকে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল থানার বসুগাঁও এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে মোঃ কালাম মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী পুতুলি বেগম ওরফে পুতুল (৩০)।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল থানার বসুগাঁও এলাকার নিজ বাড়িতে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতো কালাম মিয়া। স্থানীয় এক গার্মেন্টসের কর্মী পুতুলি বেগম ওরফে পুতুলকে ৪/৫ বছর আগে বিয়ে করে কালাম। তাদের সংসারে ছাপুয়ান নামের দু’বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এটি কালামের তৃতীয় বিয়ে। এরআগের দু’স্ত্রীর সঙ্গে কালামের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে খাবার খেয়ে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে কালাম। পরদিন বৃহষ্পতিবার ভোরে শিশু ছাপুয়ানের লাগাতার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তারা ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা খাটের উপর স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। শিশু ছাপুয়ান রক্তাক্ত পিতা মাতার লাশের উপর লুটিয়ে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। তার শরীর রক্তে ভেজা ছিল। পরে স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কালাম বেকার অবস্থায় দিনযাপন করছিল। সম্প্রতি সে একখন্ড জমি বিক্রি বাবদ এক ক্রেতার কাছ থেকে ৩লাখ টাকা বায়না গ্রহণ করে।
জিএমপি’র পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঘরে ঢুকে কালাম ও তার স্ত্রীকে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। খুন করার আগে কালাম ও তার স্ত্রীকে কাবু করতে মরিচের গুড়া ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার প্রকৃত কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবেই ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে।