ধর্ষণের শিকার পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার এক শহিদের মেয়ে লামিয়ার (১৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় পাঙ্গাশিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে শহিদ বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার শেখেরটেকের ভাড়া বাসায় নিজের কক্ষে ফাঁস দেন তিনি। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাফনের তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীতে নানার বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এবং নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর থেকে মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক লজ্জার ভারে বিপর্যস্ত ছিলেন। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়ে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ধর্ষণ মামলার দুই আসামি বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে আটক রয়েছে। ঘটনাটি সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ২০২৪ সালে মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন লামিয়ার বাবা জসিম হাওলাদার; পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।