পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বললেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কৃষি এবং ইকো-ট্যুরিজমের পাশাপাশি মাছ উৎপাদনে কাপ্তাই হ্রদকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সিলেটের চা চাষের মতো পার্বত্য অঞ্চলকেও কফি ও কাজু বাদামের অঞ্চলে পরিণত করতে হবে। পাহাড়ে কফি চাষ ও ইকো-ট্যুরিজম সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগের পরিকল্পনা নিয়েছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার রাঙামাটিতে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী ও অসাম্প্রদায়িকতা রয়েছে। কোনো ধর্মেই সাম্প্রদায়িকতা নেই। তাই সবাইকে প্রত্যেক ধর্ম নিয়ে চর্চা করতে হবে। তবে তা যদিও চর্চা করতে না পারলেও অন্ততপক্ষে কিছু জ্ঞান ধরে রেখে ব্যক্তিগত জীবনকে আরো উন্নততর করা সম্ভব হবে।
গৌতম বুদ্ধ অষ্টাঙ্গিক মার্গের বাণীতে সম্প্রীতির কথা বলেছেন উল্লেখ করে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে সম্প্রীতি বজায় রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তাই আমাদের আরো সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকোমল বড়ুয়া।
স্বাগত বক্তব্যে দেন শ্যামল মিত্র চাকমা। সেমিনারে বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্রাস্টি রাজীব কান্তি বড়ুয়া।
দিনব্যাপী সেমিনারে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের দুই শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।