খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) স্বস্তি ফিরেছে। ভিসি-প্রোভিসির অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই আনন্দে ভাসছে শিক্ষার্থীরা। ২ মাসের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন ও ৫৭ ঘণ্টা অনশনের পর ক্যাম্পাস ছিল গতকাল শান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা চত্বরে পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করেছে কিছু শিক্ষার্থী। বিকালে হয় আনন্দ মিছিল। হলে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে ন্যায়বিচারের পরাজয় ঘটেছে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. ফারুক হোসেন বলেছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের ক্লাস বর্জনের আগের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। বুধবার রাত ১টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর পরপরই ক্যাম্পাসে অবস্থান করা ইউজিসির প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এ খবরে রাতেই ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। শিক্ষার্থীরা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের বিজয় হয়েছে। সত্য কখনো হারে না, ইনকিলাব জিন্দাবাদ। ভিসির পদত্যাগ নয়, পতন হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন। ভিসি অব্যাহতির কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের ধন্যবাদ জানিয়ে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে কুয়েটে ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।