বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করেছেন, ‘এবারের পহেলা বৈশাখে মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা ও বিভাজন দূর হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে ফ্যাসিস্টদের পতনের পর এবারের পহেলা বৈশাখ স্বস্তির বাতাবরণে উদযাপিত হবে। তাই আমি বিশ্বাস করি, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা ও বিভাজন দূর করে পহেলা বৈশাখের উৎসব ভরে উঠবে পারস্পরিক শুভেচ্ছায়।’
আজ রোববার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর বিভাগ থেকে পাঠানো বাণীতে দলের মহাসচিব সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একথা বলেন।
বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশীদের সমগ্র সত্তাকে ধারণ করে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈশাখের উষালগ্ন থেকেই ছায়া সুনিবিড় শান্তির আশ্রয়ের ন্যায় আমাদের মনকে ভরিয়ে তোলে বৈশাখী উৎসব।’
তিনি বলেন, ‘নববর্ষের প্রথম প্রহরে আমাদের অগণিত সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের এক আলোকিত ও আনন্দময় উৎসব। এ উৎসবে বৈরিতা বা দ্বন্দ্ব থাকবে না, প্রাণ-প্রাচুর্যে সঞ্চারিত হবে সবার হৃদয়। এই উৎসব সংহতিরও প্রতীক।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকেই শুরু হয় নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার আকুলতা। নতুন বছর মানেই অতীতের সব ব্যর্থতা ও জরাজীর্ণতা পেছনে ফেলে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহে নতুন গতিশীল কর্মপ্রবাহে সুন্দর ও সমৃদ্ধ আগামী নির্মাণ করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত বছরের নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার অভিঘাত পেরিয়ে আমাদের শান্তি, স্বস্তি, সুস্থতা ও সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে বাংলাদেশীদের স্বাতন্ত্র্য ধর্মের পরিচয় মেলে। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সাহিত্য-সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে এই স্বাতন্ত্র্যবোধ বাংলাদেশীদের মানসলোকের বিশেষত্ব। প্রতিটি উৎসবের অন্তঃস্থলে থাকে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সব মানুষের মিলন, পরোক্ষে একটি জাতির নানা সম্প্রদায়, ধর্ম-গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করে নানাভাবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘১৪৩২ বাংলা সনের প্রথম দিনের নতুন আলোতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কায়মনোবাক্যে দেশের সব মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। নববর্ষের এই নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে সবার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথা জাতীয় সকল পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি।’