কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে:

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি নেতা ও স্থানীয় কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নব নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মফিজুর কাদের খান মিল্টনকে একটি ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলায় ফাঁসানোর পাঁয়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মফিজুর কাদের খান মিল্টন বলেন, বোয়ালমারী ওয়াপদা মোড়স্থ পূর্ব কামারগ্রাম নিবাসী মো. লুৎফার মোল্যার ঘর ভাড়া নিয়ে সুনামের সাথে ৫ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছি। সম্প্রতি লুৎফর মোল্যার ও আমিন মোল্যার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মার্চ বেলা ১০টার দিকে লুৎফর মোল্যা গং এবং আমিন মোল্যা গংদের মধ্যে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি এবং মারামারিতে রূপ নেয়। এ সময় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি বিরোধ নিরসনে এগিয়ে যাই এবং বোয়ালমারী থানায় ফোন করে গোলমালের খবর জানাই।
তিনি আরো বলেন, হট্টগোলের মধ্যে আমি সবাইকে নিবৃত্ত করতে ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় কে বা কারা দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে ৬ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
গত ২৭ মার্চ নিহতের পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। সে অভিযোগে আমার সম্পৃক্ততা আছে এমন কোনো অভিযোগ না দিলেও পরে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি মহল উঠে পরে লেগেছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে এই হত্যা মামলায় আসামী করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হামলা মামলার শিকার হয়েছি। এ নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।