ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জমে উঠেছিল আবাহনী ও মোহামেডানের লড়াই। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বিপদে পড়া আবাহনীকে আশা দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার ইনিংস ব্যর্থ করে ৩৯ রানের জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান।
শনিবার ডিপিএলের ১১ম রাউন্ডের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান ৪৮.২ ওভারে ২৬৪ রান করে অলআউট হয়। অসুস্থ তামিমের জায়গায় একাদশে জায়গা পেয়ে আনিসুল ইসলাম ইমন মোহামেডানের হয়ে ১১৮ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ১৮টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কার শট আসে।
তিনে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন খেলেন ৫৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। এবারের ডিপিএলে তিনি নিয়মিত তিনে ব্যাট করেছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার মতো মোহামেডানের মিডল অর্ডারের তিন অভিজ্ঞ ব্যাটার সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। মুশফিক খেলেন ২০ বলের ইনিংস, রিয়াদ যোগ করেন ১৭ রান, মেহেদী মিরাজ ১৮ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাব দিতে নেমে আবাহনী এবাদত হোসেন ও মেহেদী মিরাজের তোপে পড়ে। তারা ১২৬ রানে আবাহনীর চার ব্যাটারকে ভাগ করে তুলে নেন। পারভেজ ইমন (১৫) ও জিসান আলম (৩) ব্যর্থ হন। চারে নামা মিঠুন ১৯ ও পাঁচে নামা মুমিনুল ২৫ রান যোগ করেন। সেখান থেকে লড়াই করে নাজমুল শান্ত খেলেন ১১৩ বলে ৮০ রানের ইনিংস। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে শান্ত আউট হতেই ম্যাচ হাতছাড়া হয় আবাহনীর। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা থামে ৪৭.২ ওভারে ২২৫ রানে।
মোহামেডানের হয়ে পেসার এবাদত হোসেন ৩৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আবাহনীর পেসার নাহিদ রানা নেন ৩ উইকেট। এছাড়া বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি দুটি করে উইকেট নেন। আবাহনীকে হারিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়েও টেবিলে দুইয়ে আছে মোহামেডান। তবে ম্যাচে আউট নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়।