শুল্ক আরোপ করেছে। আগামী শনিবার থেকে নতুন এই শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এ ঘোষণার মাত্র দুই দিন আগে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল চীন। তার আগে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে সর্বশেষ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। একের পর এক এই পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন উচ্চহারে শুল্ক আরোপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির পরিপন্থী। তারা এটিকে একতরফা সিদ্ধান্ত, গুন্ডামি এবং জোরজবরদস্তি হিসেবে দেখছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আগামী ৯০ দিনের জন্য বেশিরভাগ দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক স্থগিত রাখবেন। তবে চীনের জন্য এই ছাড় প্রযোজ্য নয়। বরং বৃহস্পতিবার থেকেই চীন থেকে আমদানি করা প্রায় সব পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাশে চেয়ে বলেছেন, মার্কিন ‘বুলি নীতির’ বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, কোনো পক্ষই এই শুল্কযুদ্ধে জিতবে না।
যদিও ট্রাম্প এখনো আশাবাদী। তিনি বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভালো কোনো সমঝোতা হবে।’
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা জানিয়েছে, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে দুই দেশের পণ্যবাণিজ্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। গত বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারেও। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সোনার বাজারে ঝুঁকছেন। এর ফলে সোনার দাম পৌঁছেছে নতুন রেকর্ডে। -সূত্র: বিবিসি, সিএনএন