দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের ওপর আরও কঠোর হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশকিছু চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্যের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, যা আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুসারে চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি আমদানি শুল্ক বুধবার থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে।

বিবিসি, রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের ওপর আরোপ করা হয় ৩৪ শতাংশ শুল্ক। এর আগে দেশটির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

এর জবাবে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় চীন। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা।

তবে বেইজিং নতুন করে যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, সেটা প্রত্যাহার না করলে দেশটির পণ্যের ওপর আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। সেই মোতাবেক, একদিন আগেই ট্রাম্পের ঘোষণা দেওয়া বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেন, ‘চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক বাড়ানোর মার্কিন হুমকি একটি ভুলের ওপর আরেকটি ভুল। এর মধ্য দিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণা করার স্বভাব প্রকাশ পেয়েছে। চীন কখনোই এটা মেনে নেবে না।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন শুল্কনীতি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন-যারা পরস্পরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার-তাদের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।