গাজীপুরে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিকৃত কাম-লালসা চরিতার্থকালে ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে পান-সিগারেট বিক্রেতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্লুলেস এ ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-গাজীপুর। বুধবার পিবিআই’র গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতের নাম- মোঃ মাইদ হোসেন (২২)। সে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার খলিশাকুড়ি এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে। নিহত মো. আল আমিন (৩৫) শেরপুর জেলা সদরের পাকুরিয়া ফকিরপাড়া এলাকার আসাব আলী মীরের ছেলে।

পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গাজীপুরের চান্দনা (পূর্বপাড়া) গ্রামের ভাড়া বাড়িতে একা থেকে এলাকায় ফেরি করে পান-সিগারেট বিক্রি করতেন আল আমিন। গত সোমবার (৭এপ্রিল) প্রতিবেশীরা দূর্গন্ধের সূত্র খুঁজতে গিয়ে ঘরের বিছানার উপর গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদি হয়ে বাসন থানায় মামলা দায়ের করেন। ক্লুলেস এ ঘটনার মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে অভিযানে নামে পিবিআই। তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে শ্রীপুর থানাধীন শৈলাট এলাকা হতে মাইদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাইদ হোসেন ভিকটিম বকুল হত্যাকান্ডের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপ্রেক্ষিতে নিহতের লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে পান-সিগারেট বিক্রেতা আল আমিন হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এটি একটি নৃশংস হত্যাকান্ড। ডিসিস্ট মোঃ আল আমিন (৩৫) ভাসমান পান ও সিগারেটএর দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ৩ এপ্রিল তার সঙ্গে পরিচয় হয় বেকার যুবক মাইদ হোসেনের। এসময় মাইদ হোসেনকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আল আমিন তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। ৫ এপ্রিল ভোরে আল আমিন কার বিকৃত কাম-লালসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করে। এসময় ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে আল আমিনকে গলাটিপে হত্যা করে মাইদ হোসেন। পরে নিহতের গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে আল আমিনের লাশ বিছানায় ফেলে রাখে এবং নিহতের ব্যবহৃত বাটন মোবাইল ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মাইদ হোসেন। ঘটনার দুইদিন পর ৭এপ্রিল নিহতের অর্ধগলিত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।