ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় আরো ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ছয় সদস্য রয়েছেন। ফলে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৮১০ ছাড়িয়েছে।
এছাড়াও পূর্ব জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ ও মানব উন্নয়নে সহায়তার সাথে সম্পর্কিত ছয়টি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে আরো ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ায় একটি বাড়িতে ইসরাইলের বিমান হামলায় একই পরিবারের ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে উত্তর-পশ্চিম গাজা শহরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রের কাছে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলায় আরো চারজন নিহত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পশ্চিম গাজা শহরের আরেকটি হামলায় সাবেক একজন ফুটবল খেলোয়াড়ও নিহত হয়েছেন।
গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরাইল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে চার লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
সূত্র : আল জাজিরা