বুধবার সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে এ প্রস্তাবনা জমা দেয় গণঅধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল।
প্রস্তাবনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকারে রূপদান করে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কারকৃত সংবিধান কার্যকর করা এবং এই সংস্কারকৃত সংবিধানের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করা; একই ব্যক্তি একসঙ্গে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হিসেবে থাকতে পারবেন না; দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না; এনসিসি গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
এনসিসি হলো জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল।রাষ্ট্রীয় কার্যাবলীতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে রাষ্ট্রীয় অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হবে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি)। এনসিসির সদস্য হবেন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দল মনোনীত উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধিত্বকারী সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের উভয় কক্ষের সদস্যরা ব্যতীত, আইনসভার উভয় কক্ষের বাকি সব সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত ১ জন সদস্য।
এ ছাড়া পৌরসভা নির্বাচনে সরাসরি জনগণের ভোটের দাবি জানিয়ে সংস্কার কমিশনের মতামতের বিরোধিতা করা হয় ও সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদের পরিবর্তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রাখার প্রস্তাব করেছে গণঅধিকার পরিষদ। এছাড়াও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।
প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হাবিবুর রহমান রিজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সহ-গণমাধ্যম সম্পাদক এনায়েত হাসিব, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্বাসী যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।