ঈদেরদিন নানার মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় সিএনজি আরোহী এক শিশু ও তার খালা নিহত হয়েছেন। এসময় নিহত ওই শিশুর বাবা-মাসহ সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। সোমবার গাজীপুর শহরের শিববাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরা থানার কালিকাপুর এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে শিউলি আক্তার (৪৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার সোহাপুর এলাকার আবুবকর সিদ্দিক জুয়েলের মেয়ে তাবাস্সুম (৫)। আহতরা হলেন- নিহত তাবাসসুমের বাবা আবুবকর সিদ্দিক জুয়েল (৩৫) ও মা লিজা (২৩) এবং সিএনজি চালক। এদের মধ্যে শিউলি আক্তার ও লিজা পরষ্পরের খালাতো বোন।
জিএমপি’র সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার আউটপাড়া রিয়াজনগর এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করেন আবুবকর সিদ্দিক জুয়েল। ঈদের দিন (সোমবার) সকালে শ্বশুরের মৃত্যুর খবর পেয়ে জুয়েল তার দুই শিশু সন্তান, স্ত্রী ও স্ত্রীর খালাতো বোনকে নিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তারা ঢাকা-গাজীপুর সড়কের শিববাড়ি মোড়ে পৌছলে বেপরোয়াগতিতে ঢাকাগামী গাজীপুর পরিবহনের একটি বাস ওই সিএনজিটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজি আরোহী শিউলি আক্তার ও তার শিশু ভাগ্নি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় জুয়েল ও তার স্ত্রীসহ সিএনজি চালক আহত হন। তবে অলৌকিকভাবে রক্ষায় পায় জুয়েলের অপর শিশু সন্তান অন্তরা (৩)। এ ঘটনায় বাসের ধাক্কায় সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন ওই বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। তবে ততক্ষণে বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়।
তিনি আরো জানান, বাসটি মোড় এলাকায় বেপরোয়াগতিতে চালানোর কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গাড়ি দুইটি জব্দ করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।