গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, কোন অবস্থাতেই মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশাকে উঠতে দেওয়া হবে না। অটোরিকশাগুলো মহাসড়ক থেকে যে সকল ফিডার রোড রয়েছে সেসব ফিডার রোডে অবস্থান নেবে এবং মহাসড়ক থেকে এক’শ মিটার দূরে যাত্রী উঠানামা করবে। এজন্য তিনি অটোরিকশা চালক এবং যাত্রীদেরও সহযোগিতা কামনা করেন। আর অটোরিকশা মহাসড়কে উঠলে তার বিরুদ্ধে ডাম্পিংসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাসের ভাড়া বেশী নেওয়া হলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার ঈদে ঘুরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে চান্দনা চৌরাস্তায় এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে ইতোমধ্যে মহাসড়কের ওপর থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ পার্কিং সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচলের শৃংখলা আনয়নে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও কাজ করছে। মহাসড়কে কাঁচামাল ও নিত্যপণ্য বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য সব ট্রাক ও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। সড়কের খানাখন্দ মেরামত করা হয়েছে।
তিনি নগরীতে ছিনতাই প্রসঙ্গে বলেন, ছিনতাইয়ের ব্যাপারে মহানগর পুলিশ জিরো টলারেন্স। আগের চাইতে ছিনতাই কমে এসেছে। বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের ধরতে গিয়ে পুলিশের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। তারপরও ছিনতাইকারীকে ছাড়া হয়নি। গোপনে অ্যাম্বুস করে ছিনতাইকারীদের ধরার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেকে চাকরি হারিয়ে ছিনতাই কাজে নেমেছে। তাদেরকে যারা লেলিয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।