জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘সামনের যে নির্বাচন হবে সেটি হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের পর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নতুন সংবিধান উপহার দেবেন এবং তারাই সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করবেন।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপি রংপুর জেলা ও মহানগর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে এক করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। ২৪ জুলাই কোনো অভ্যুত্থানের গণহত্যার বিচার এখন বাংলাদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত বিষয়। যদি গণহত্যার বিচার না হয়, তাহলে বাংলাদেশে আবারও ফ্যাসিবাদী চক্র গুম, খুন, হত্যাসহ নারকীয় তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে যাবে। বাংলাদেশকে যদি মেরামত করতে হয়, তাহলে অবশ্যই ২৪ এর জুলাই বিপ্লবে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংবিধানের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, এই সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সংবিধানের এক তৃতীয়াংশ আছে তা কেউ সংশোধন করতে পারবে না। এই সংবিধানে রাষ্ট্রের যে তিনটি উপাদান রয়েছে, এই তিনটির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা হয়নি। যার মাধ্যমে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় এদেশের প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারী হওয়ার সুযোগ হয়েছে। ‘
আখতার বলেন, ‘সে জন্য আমরা মনে করি বাংলাদেশ দেশে নতুন সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে। নতুন সংবিধান পেতে হলে গণপরিষদ নির্বাচন দিতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনটা হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন। ’
এনসিপির রংপুর জেলা ও মহানগর সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার শেখ রেজওয়ানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. শওকত আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আনিসুর রহমান লাকু, মহানগর সদস্যসচিব মাহফুজুর নবী ডন, মহানগর জামায়াতের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাউসার আলী, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ও রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, আসাদুল্লাহ আল গালিব, সাকিব মাহদী, সদস্য আব্দুল মুনাইম, রফিকুল ইসলাম কনক প্রমুখ বক্তব্য দেন।