ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, গাজায় সর্বশেষ হামলার আগে ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেছে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডজুড়ে আবার ব্যাপক আকারে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে কমপক্ষে ২০৫ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজেদের লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গাজায় সর্বশেষ আক্রমণ শুরু করার আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করে বলে জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে লিভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি, ইরান— যারা কেবল ইসরায়েলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায়— তাদের মূল্য দিতে হবে এবং তাদের ওপর সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে।‘
তিনি আরো বলেন, হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী প্রতিনিধিদের উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া। কারণ তিনি (ট্রাম্প) বলেন যে, তিনি আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।
এদিকে আল জাজিরা তাদের সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজাজুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০৫ জন নিহত এবং অসংখ্য ফিলিস্তিনির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরায়েল গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে।