অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জনগণের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা জানান তিনি।

বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, দেশে কিডনি রোগের আধুনিক চিকিৎসা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জনগণের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫’ উদযাপন কিডনি রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বে কিডনি রোগ মানব মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশেও এ রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ব্যথানাশক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার ও খাদ্যে ভেজালসহ বিভিন্ন কারণ এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত শনাক্ত করুন, কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা করুন’।