আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ বলেছেন, ‘ভিসা চালুর ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা সময় বলা সম্ভব না তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি৷ এই লক্ষ্যে আমিরাতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর জন্য কাজ করছি৷ বিশেষ করে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বাড়ানো গেলে সাধারণ ভিসা চালু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এব্যাপারে ইতোমধ্যে মহামান্য প্রধান উপদেষ্টা আলোচনা করে গেছেন৷ আমরাও এটা নিয়ে কাজ করছি৷’

সম্প্রতি আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট জালিয়াতির কারণে আমিরাতের ভিসা চালুর বিষয়ে কিছুটা কম অগ্রগতি হচ্ছে৷ এদিকে আমিরাতের ভিসা চালুর চেয়ে অভ্যন্তরীণ মালিক পরিবর্তনের সুযোগকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সেখানকার প্রবাসীরা৷

আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ প্রবাসী সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা উঠে আসে।

সোমবার ১০ মার্চ দূতাবাসে এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সভাপতি মামুনুর রশীদ, সহ-সভাপতি এস এম মোদাসসের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আসিফ, অর্থ সম্পাদক শাহজাহান আহমদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মদ ইরফান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাফায়াত উল্লাহ, সদস্য আশিকুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন।

মতবিনিময় সভায়, প্রবাসীদের নানা জটিলতা নিরসনের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ তৈরির প্রয়োজনীয়তা, প্রবাসীদের সুবিধার্থে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়৷

এস এম মোদাচ্ছের শাহ
আমিরাত প্রতিনিধি