গাজীপুরে রেল ব্যবস্থাকে যাত্রীবান্ধব করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ও যাত্রীরা। দাবি মেনে নেয়া না হলে শীঘ্রই বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয় এসময়। সোমবার গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল জংশন স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানাগেছে, সোমবার সকালে জয়দেবপুর রেল জংশন স্টেশনে সকল আন্তঃনগর বিরতিহীন ট্রেন জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করা, উপদেষ্টার উপহারকৃত ট্রেন দুটি যাত্রীদের পক্ষ থেকে দাখিলকৃত সময়সুচি অনুযায়ী পরিচালনা করা, গাজীপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো সময়সুচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে পরিচালনা করা, ৬৫০ টাকার মাসিক টিকিটের উপর কোন নির্দিষ্ট ট্রেনের সীল না দেওয়া এবং জয়দেবপুর স্টেশন অতিক্রমকারী ট্রেনসমূহ জয়দেবপুর স্টেশন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ও যাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠণ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়নের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হক ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এম এ বাতেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যক্ষ মোকসেদুর রহমান, গাজীপুর মহানগর এবি পার্টির সভাপতি প্রিন্সিপাল হুমায়ূন কবির, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন, প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক শফিউল আলম নাবিল প্রমুখ।
গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়নের সভাপতি প্রকৌশলী মো. সামসুল হক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগকৃত রেল ধ্বংসকারী ঠিকাদারের মাধ্যমে রেলের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখার স্বার্থে উদ্বোধনকৃত দুটি ট্রেনকে সারাদিন অলস বসিয়ে রাখা হচ্ছে। যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও জয়দেবপুরে আন্তঃনগর ট্রেন সমূহের যাত্রাবিরতি দেওয়া হচ্ছে না। গাজীপুরবাসীর বহু আন্দোলনের ফসল অত্যন্ত স্পর্শকাতর আবেগ তুরাগ ট্রেনটিকেও আওয়ামী মাফিয়া রেলখেকোর হাতে ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।
এসময় রেল ব্যবস্থাকে যাত্রীবান্ধব করার লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।