অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ ও মাওলানা সাদ কান্দলভির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মামলার পর জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই।
সাদপন্থীরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইজতেমার তারিখ সরকার বাতিল করেনি। তারা দুই পক্ষ যদি আলোচনা করে সমাধান করতে পারে, তাহলে সাদপন্থীরা ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন। তারা আলোচনা করুক।
‘বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলার পর প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে। ইজতেমার তারিখ পরিবর্তন হয়নি। সরকার চায় উভয়পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের পথে আসুক। সবাইকে ময়দান ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার আহ্বান জানাই।
বৈঠক শেষে নির্দেশনা মেনে সবাইকে মাঠ ছাড়ার আহ্বান জানান সাদপন্থী শীর্ষ আলেমরা। এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্য়ন্ত উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গতকাল মধ্যরাতে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ভোর থেকেই সাদপন্থিদের দখলে ছিল টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। দুই পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে সকাল থেকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে সাদপন্থী আলেমরা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অনুসারীদের উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে কড়া নির্দেশ দেন আালেমরা।