চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মোহাম্মদ সিজান (১৯) নামের এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মিজানের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মোহাম্মদ সিজান পটিয়া উপজেলার কচুয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। হামলাকারী মিজান কচুয়ায়উনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লপাড়া এলাকার বাসিন্দা। হামলাকারী মিজান ও আহত সিজান দুজনই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বিজয় মিছিলের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ব্যানারে ছবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মিজানের সঙ্গে সিজানের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মিজান ছাত্রদল নেতা সিজানের কোমড়ে ছুরিকাঘাত করে। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী মোহাম্মদ মিজান ও আহত মোহাম্মদ সিজান দুজনই দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা এনামুল হক এনামের অনুসারী।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাদিয়া সুলতানা জানান, সিজান নামের ওই যুবকের কোমড়ের নিচে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতে আহতের বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন এবং কিছু জানেন না বলে জানান।