সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে পরীক্ষা দিয়ে তার বোলিংয়ের এই ত্রুটি ধরা পড়ে। যে কারণে শুরুতে ইসিবি’র অধীনে সকল ম্যাচে তার বোলিং নিষিদ্ধ করা হয়। তবে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি দেশের বাইরে কোন ধরনের টুর্নামেন্টেই বল করতে পারবেন না বাঁ-হাতি এই স্পিনার।

বিসিবি জানিয়েছে, ইসিবির অধীনে করানো পরীক্ষার ফল আইসিসিও স্বীকৃতি দিয়েছে। যে কারণে সাকিবকে এখন আইসিসি অধীনে স্বীকৃত কোন পরীক্ষাগারে পুনরায় বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে। যদি তিনি ওই পরীক্ষায় পাস করেন এবং বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি নেই এটা প্রমাণ হয় তবেই আন্তর্জাতিক ও দেশের বাইরের টুর্নামেন্টে তিনি খেলতে পারবেন। তবে বিসিবির অধীনে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলতে বাধা নেই তার।

গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। তখনই তার অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। গত ২ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সাকিব। ১০ ডিসেম্বর ইসিবি জানায়, তার বোলিংয়ে ক্রুটি পাওয়া গেছে।

আইসিসির বোলিং অ্যাকশন বিধির ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, কোন জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন কোন ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি পাওয়ার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করলে এবং আইসিসি ওই নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক নোটিশ পেলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইসিসির স্বীকৃতি পায় এবং আইসিসির অধীনে টুর্নামেন্টে ও অন্যান্য বোর্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হয়।

বিসিবি জানিয়েছে, অ্যাকশনের কারণে সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ও যেকোন পর্যায়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটার হিসেবে খেলতে তার বাধা নেই। বোর্ড আরও জানিয়েছে, সাকিব দ্রুতই তার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন। ওই পরীক্ষায় তার অ্যাকশন নিয়ে কোন সমস্যা ধরা না পড়লে পুনরায় সকল পর্যায়ের ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন তিনি। বিসিবি বিষয়টি নিয়ে ইসিবি ও আইসিসির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলেও জানানো হয়েছে।