২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ সম্বোধন করে একটি চিঠি লিখেছিলেন আলোচিত নির্মাতা, অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। কারণটি ছিল পূর্বাচলের একটি জমি। আর সেই চিঠির একটি কপি ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। যেকারণে সমালোচনা মুখেও পড়তে হয় জয়কে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিতর্কের মুখে পড়েন এই উপস্থাপক। অনেকেই তাকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলে সম্বোধনও করছেন। প্রশ্ন উঠেছে- বিগত সরকারের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে তিনি কী কী ফয়দা লুটেছেন?
এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আবারও মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘৮৪০’ সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে জয় জানান, ওই জমির জন্য অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাবা ডাকতে তার কোনো আপত্তি নেই।
জয়ের কথায়, ‘একটা শাসক দল যখন অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় থাকে, তখন তাদের থেকে কাজ কিংবা সুবিধা নেওয়ার জন্য আমাদের কিছু আবেদন করতেই হয়। সেটা অনেকেই করেছে। কেউ কম, কেউ বেশি। বিষয়টি নিয়ে এখন আমার আর কিছু বলার নাই। কারণ আমি অনুতপ্ত।’
জমির প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার জমির প্রয়োজন আছে। তাই ড. ইউনূস স্যারকে বাবা ডাকতে হলেও ডাকব। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে জমি চাওয়াতে আমি মোটেও অনুতপ্ত না। একটা জিনিস পাওয়ার জন্য বাবা, দাদা, মা ডাকা যায়। আর আমি আমার কাজের জন্য ভবিষ্যতেও ডাকব।’
সঙ্গে যোগ করে জয় আরও বলেন, ‘তবে হ্যাঁ, আমি তখনও বলেছি বিগত সরকার যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল আর তাদের পতনের জন্য যত লোক প্রাণ দিয়েছে- তা অনেক সেন্সেটিভ ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আর ওই সকাররের প্রধানকে আমি মা বলেছি; সেটার জন্য আমি অনুতপ্ত।’
এদিন জয় আরও বলেন, ‘সরকার পতনের পর আমার নামে এমন একটি মামলা দেওয়া হয়েছে, যেই ঘটনার সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। অনেকের মাঝেই একটা ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে, বলা হচ্ছে- তারা স্বৈরাচারের দোসর। আমি নিজের সাফাই গাচ্ছি না, তবুও একটা প্রশ্ন- যেই গ্রুপটি নিয়ে এত আলোচনা, সেই “আলো আসবেই” গ্রুপে কি আমি ছিলাম? ছিলাম না তো।’