গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলেহুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের কাছে দেশকে ইজারা দিয়েছিলেন‌ মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, ‘এখন যে কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে সমতা ও মর্যাদার। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে মর্যাদার সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।এদেশের জনগণ তার বিচার করবে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচারের জন্য তার লাশ যদি কবর থেকে তোলা না লাগে, তাহলে ২০২৪-এর গণহত্যার বিচারের জন্য শহিদদের লাশ কবর থেকে কেন তুলতে হবে? আর কোনো শহিদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। শহিদদের হত্যা মামলাগুলোতে বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে। ’ জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দালাল নই, ক্ষমতা পিপাসু নই। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করেছে- এমনকি প্রফেসর ড. ইউনূসও যদি হয় তাকেও আমরা ছেড়ে কথা বলব না। ’ তিনি বলেন, ‘গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন করে পোস্টিং তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে। হত্যাকান্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যদেরও বিচার করতে হবে।’ এর আগে অনুষ্ঠানে আসা শহিদ পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে কথা বলেন সারজিস আলম। পরে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিভাগের শহিদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন তিনি। রাজশাহী বিভাগের ৬৩ শহিদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। প্রতি শহিদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান।