অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১১৬ রানে অলআউট করে কাজটা বেশিরভাগই সেরে রেখেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। অল্প রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও অধিনায়ক আজিজুল হক তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ে যায় পাকিস্তান। ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৭ উইকেটে, হাতে তখনো ছিল ১৬৭ বল। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক তামিম। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দেশ ভারত। আগামী রবিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হবে ম্যাচ।

১১৭ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ধীরগতিতে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে চার রান নেওয়ার পর দুই ওভার মেডেন উপহার দেয় বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ওভারে আসে মাত্র ২০ রান। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকি (১৪ বলে ০)।

তিন নম্বরে তামিম ব্যাটিংয়ে নামার পরই ঘুরে যায় রানের চাকা। ২৮ রানে বাংলাদেশ আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারকে (২৫ বলে ১৭) হারালেও সে চাকা আর থামানো যায়নি। শিহাব জেমসের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ৮৫ রানের মাথায় জেমস ফিরলেও (২৬) চার-ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের পথে নিতে থাকেন তামিম। ৩৯ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আরেক পাশে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজান হোসেন।

এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের পেসারদের সামনে টিকতেই পারেনি পাকিস্তান। ইকবাল হোসেন ইমন-মারুফ মৃধাদের পেস আগুনে পুড়ে ৩৭ ওভার খেলে পাকিস্তান অলআউট হয় মাত্র ১১৬ রানে। শুরুর ওভার থেকেই তোপ দাগতে থাকেন বাঁহাতি পেসার মারুফ। বেশ কয়েকটি ওয়াইড দিলেও ওভারের চতুর্থ বলে উসমান খানকে ফিরিয়ে দেন দারুণ এক আউটসুইংয়ে। দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন সামিউন বশির। দলীয় তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও মারুফের আঘাত। এবারও আউটসুইং, তাতে পরাস্ত হন আরেক ওপেনার শাহজাইব খান। পাকিস্তানের দুই ওপেনারের দুজনই আউট হয়েছেন শূন্য রানে।

—দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মুহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ ও অধিনায়ক সাদ বেগ। দলকে ৪৯ রান পর্যন্ত নিয়ে যান এই দুজন। এরপর আবার ধস। ৭৯ রানের মধ্যে একে একে ফিরে যান সাদ (১৮), নাভিদ আহমেদ খান, রিয়াজুল্লাহ (২৮) ও হারুন আরশাদ। পরের চার উইকেটের মধ্যে দুইটি ইমন, একটি আল ফাহাদ ও রান আউট হন একজন।

সপ্তম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন ফারহান ইউসুফ ও ফাহাম উল হক। শেষ ৪ উইকেট আবার মাত্র ৩ রানের মধ্যে হারায় পাকিস্তান। এর মধ্যে ২ উইকেট আবার ইমনের। শেষ পর্যন্ত এই পেসারের বোলিং ফিগার: ৭-১-২৪-৪। মারুফের ২ উইকেট ছাড়া আরেক পেসার আল ফাহাদ নেন এক উইকেট। বাকি উইকেটটি দেবাশিষ দেবার। পাকিস্তানের হয়ে ৩২ বলে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ফারহান।