হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে ভারতকে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নিতে বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি হাই কমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা কামনা করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে আরো সৈন্য দেয়ার মাধ্যমে এ কাজে সহায়তা বাড়াতে পারে।
এর আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে কিছুসংখ্যক বিক্ষোভকারীর পরিকল্পিত হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারত সরকারকে দ্রুত তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পিতভাবে মিশনের প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতেই তারা পতাকার খুঁটি ভেঙে ফেলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এটি দুঃখজনক যে মিশন রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না।
আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই জঘন্য হামলার একটা ধারা তৈরি হয়েছে। এর আগে গত ২৮ নভেম্বরও কলকাতায় একই কায়দায় সহিংস হামলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আগরতলার এই ঘটনা ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্ক সংশ্লিষ্ট ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন।’
মন্ত্রণালয় বলছে, যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলো সুরক্ষা দেয়া ভারত সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ‘পাশাপাশি বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধ এবং কূটনীতিকবৃন্দ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো’ হয়।