গাজীপুরে টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কামু বাহিনীর প্রধান যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম ওরফে কামু’কে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গোয়েন্দা (দক্ষিণ) শাখার সদস্যরা। সোমবার ভোরে তাকে সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানা এলাকাস্থিত জনৈক বিএনপি নেতার এক রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ইসলাম ওরফে কামু’র বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদক এবং বিস্ফোরকদ্রব্যসহ বিভিন্ন অপরাধে টঙ্গী পূর্ব থানায় ২৪ টি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ইসলাম ওরফে কামু গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার এরশাদ নগরের ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন ২৪ মামলার আসামি দুধর্ষ সন্ত্রাসী যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম কামু। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর টঙ্গীতে ফিরেন তিনি। টঙ্গীতে ফিরেই তিনি টঙ্গীর উত্তর পূর্বাঞ্চলের অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই গড়ে তোলেন কামু বাহিনী। এলাকাবাসির কাছে তিনি ছিলেন এক মূর্ত আতঙ্ক।

জিএমপি’র গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক (দক্ষিণ) ফরিদুল ইসলাম জানান, কামরুল ইসলাম ওরফে কামুর বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুইটি, জোড়া হত্যা মামলাসহ ৩টি হত্যা মামলা, চাঁদাবাজি ঘটনায় একটি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ ২৪টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় ৮ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

জিএমপি’র গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আকবর আলী মুন্সি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৪টার দিকে জিএমপি’র গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার শিরিরচালা এলাকার সাবাহ্ গার্ডেন রিসোর্টে থেকে গ্রেপ্তার করে কামু বাহিনীর প্রধান কামরুল ইসলাম ওরফে কামুকে। তাকে গোয়েন্দা কার্যালয় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়।

এদিকে যুবদল নেতা কামুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে সোমবার দুপুরে স্থানীয় এরশাদ নগর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। অপরদিকে এলাকায় আওয়ামী যুবলীগের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও বিএনপির আন্তঃকোন্দলের জেরে কামরুল ইসলাম ওরফে কামু ষড়যন্ত্রের শিকার বলে তার সমর্থকরা দাবি করেছে।