বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়ে অপর চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এ আদেশ দেন।

চার্জগঠনের মাধ্যমে যাদের বিচার শুরু হয়েছে তারা হলেন- সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম ও পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

এদিন আসামিদের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি করেন।দুদকের পক্ষ প্রসিতিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম চার্জগঠনের প্রার্থণা করে শুনানি করেন।

মামলার অপর ৯ আসামি বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে মামলা হতে অব্যহতি দেওয়া হয়। তারা হলেন-সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, এম কে আনোয়ার, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, এম শামসুল ইসলাম, এস আর ওসমানী, এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মো. আনিসুল হক মারা যাওয়ায় তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।