রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো অভিযোগ তুলে বলেছেন, তাইওয়ানকে ব্যবহার করে এশিয়ায় গুরুতর সংকট সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি রোববার প্রকাশিত এক বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।

একই সঙ্গে রুদেনকো মস্কোর পক্ষ থেকে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থানকে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

রুদেনকো বলেন, ওয়াশিংটন ‘এক চীন’ নীতিকে স্বীকৃতি দিলেও তা লঙ্ঘন করে তাইপের সঙ্গে সামরিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ এবং অস্ত্র সরবরাহ বাড়াচ্ছে।

রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ অঞ্চলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এমন স্পষ্ট হস্তক্ষেপের লক্ষ্য হলো পিআরসি-কে (পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না) উসকে দেওয়া এবং এশিয়ায় সংকট তৈরি করা। যাতে তাদের স্বার্থ রক্ষা হয়।

উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে। অন্যদিকে তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হতে চায় এবং এক্ষেত্রে তাদের প্রধান আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী হলো যুক্তরাষ্ট্র। যদিও উভয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

গত সেপ্টেম্বরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানের জন্য ৫৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া জানায় যে, তারা এশিয়ার বিষয়গুলোতে চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমকে ‘পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে একটি ‘সীমাহীন অংশীদারিত্ব’ ঘোষণা করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তখন বেইজিং সফর করেন। এই সফরের পরপরই ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু হয়।

এদিকে এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন-রাশিয়া সম্পর্কের এই দিকটি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি