প্রথমবার নির্বাচনী ভাগ্যপরীক্ষায় নেমে প্রত্যাশিতভাবেই ছক্কা হাঁকালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ওয়ানড়ের উপনির্বাচনে বড় জয়ের দিকে এগোচ্ছেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।

প্রায় দুই দশক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির ময়দানে থাকলেও ভোট রাজনীতিতে এটাই কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের হাতেখড়ি। প্রিয়াঙ্কার এই ভোট অভিষেককে স্মরণীয় করে রাখতে প্রাণপাত করেছে গোটা কংগ্রেস দল। লক্ষ্য ছিল, অন্তত পাঁচ লাখ ভোটের ব্যবধানে জেতানো জাতীয় স্তরে দলের অন্যতম মুখকে। কিন্তু উপনির্বাচনে ভোট অনেক কম পড়ায় সেই লক্ষ্য পূরণ হয়তো হবে না। তবে প্রিয়াঙ্কা জিতছেন একপেশে ভাবেই। কেরালার ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে সিপিআই। বিজেপির নব্যা হরিদাস ওই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে।

প্রিয়াঙ্কা শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীকে ছাপিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটাই ছিল দেখার। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জেতেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস চাইছিল রাহুলের সেই মার্জিন ছাপিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে ৫ লাখের বেশি ভোটে জেতাতে। পাঁচ লাখ না হলেও রাহুলের ব্যবধানকে ছাপিয়েই গেলেন প্রিয়াঙ্কা। অবশ্য ২০১৯ সালে ওয়ানড়ে প্রথমবার লড়ে পাঁচ লাখের বেশি ভোটে জিতেছিলেন রাহুল।

প্রিয়াঙ্কার জয়ের ফলে সংসদে একসাথে প্রবেশ করছেন কংগ্রেসের তিন গান্ধী। রাহুল গান্ধী রায়বরেলি থেকে সাংসদ হিসাবে লোকসভায় রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কাও ওয়ানড় থেকে জিতে পার্লামেন্টে যাচ্ছেন। প্রথমবার ভাই-বোন একসাথে লোকসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করবেন। সোনিয়া গান্ধী আগেই রাজ্যসভায় গেছেন।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন