ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হাঙ্গেরিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। বুধবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানার মধ্যে এই মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে হাঙ্গেরির অবস্থান এবং ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অরবান বলেছেন, তিনি গ্যারান্টি দেবেন যে হাঙ্গরির মাটিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর হবে না। অর্থ্যাৎ, তার সরকার এই রায়ের বিধান মানবে না। একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
অরবান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো তার জাতীয়তাবাদী মতামত এবং নেতানিয়াহুর প্রতি তার সরকারের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য পরিচিত। এছাড়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানাকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হাঙ্গেরি আন্তর্জাতিক ফোরামে, বিশেষ করে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে প্রায়ই নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছে। অরবানের বর্তমানে ইইউর সভাপতি। ইইউ সবসময় ইসরাইলের আগ্রাসী নীতির সোচ্চার সমালোচক। হাঙ্গেরিকে ইইউ-এর মধ্যে ইসরাইলের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র হিসেবে ভাবা হয়।
এদিকে নেতানিয়াহু এবং দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র সমালোচনা করেছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে আইসিসির এই রায়কে আইনি বিষয় হিসেবে সম্মান জানানো উচিত বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল।
জোসেপ বোরেল বলেছেন, আদালতের রায় একটি আইনি বিষয়, এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। তার ভাষ্য, সদস্য দেশগুলোর উচিত গ্রেফতারি পরোয়ানাকে সম্মান করা, একইসঙ্গে এটি বাস্তবায়ন ও বহাল রাখা উচিত।
বোরেল আরো বলেন, গাজার ট্র্যাজেডি বন্ধ করতে হবে।