অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেয়ারটেকার সরকার নয়, এটি বিপ্লবী সরকার। তাই শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াটাই এ সরকারের একমাত্র কাজ নয়।
আজ সোমবার সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে কার্যালয়ে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব প্রফেসর লুইস ফ্রান্সেচির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে স্বৈরাচারী বা অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। দেশের স্বার্থরক্ষা হয় এমন যে কোনো কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত। ইতোমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে তার বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে, এই বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণেও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যাপক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
বৈঠকে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারসহ চলমান সংস্কার উদ্যোগের প্রতি সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থনের আশ্বাস দেন। এ ছাড়া তিনি বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কমনওয়েলথের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
লুইস ফ্রান্সেচি বলেন, তারা সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছেন এবং তারা শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে আারও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, কমনওয়েলথের এডভাইজার অ্যান্ড হেড অব এশিয়া ড. দিনুসা নিহারা প্রমুখ।