পাবনায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় যুবলীগ কর্মী মানিক, বিএনপি নেতা জালাল ও স্কুল ছাত্র তুষার নামের ৩ জনকে গুলি করে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী ও দূর্বৃত্তরা।
নিহত ৩ জনের লাশের ময়না তদন্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ স্কুল ছাত্র তুষার হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করেছে।
নিহতরা হলো, পাবনা সদর উপজেলার হিমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর বেতেপাড়ার শকর আলীর ছেলে বিএনপি কর্মী জালাল উদ্দিন(৪০), ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুরের ইউনুস লন্ড্রীর ছেলে যুবলীগ কর্মী মানিক হোসেন(৩২) ও সদর উপজেলার রাধানগর ময়দানপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে স্কুল ছাত্র তুষার (২৫)।
রোববার সকালে জালাল, রাতে তুষার ও সোমবার সকাল ৯টায় মানিক পৃথক ঘটনায় হত্যাকান্ডের শিকার হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শহরের বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের পাশে তুষারকে গলায় ছুরিকাঘাত করে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশের দাবী নিহত তুষার স্কুল ছাত্র সিয়াম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। পূর্ব বিরোধের কারনে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতে পারে। এঘটনায় ৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এদিকে নিহত বিএনপি কর্মী জালাল উদ্দিনের সাথে একই দলের প্রতিপক্ষ মুন্তাজ চেয়ারম্যান গ্রুপের সাথে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, নিহত মানিক আজ সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর পাকার মোড়ে একটি দোকানে বসে ছিল। অতর্কিতভাবে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।