জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, ২ উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। আগামীকাল সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। আজ রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ‘আগামীকাল সকাল ১০টায় তাদেরকে প্রথমবারের মতন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। সাড়ে ১০টায় পিটিশনের শুনানি হবে। এ সময় যদি তাদের কারও আইনজীবী উপস্থিত থাকেন তাহলে ওকালতনামা দাখিল করে তারা অভিযুক্তদের পক্ষে কথা বলতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজ এখনও চলমান থাকার কারণে তাদেরকে আপাতত অস্থায়ী ট্রাইব্যুনালেই আনা হচ্ছে। এ জন্য ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ও এর আশেপাশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার স্বার্থে আগামীকাল গণমাধ্যমকর্মীসহ যারা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হবেন এমন সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের ভেতর (ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গন নয়) প্রবেশকারী কেউ, এমনকি প্রসিকিউটররাও মোবাইল বা কোনো অপ্রয়োজনীয় ডিভাইস সঙ্গে নিতে পারবেন না।’

এরআগে, গত ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (শোন এরেস্ট) ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা যাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাহজাহান খান, দীপু মনি, ফারুক খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক এলাহি, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।