সরকারের সিদ্ধান্তে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয় বলে সেনা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। আজ বুধবার ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান এ কথা বলেন। সেনাসদরে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী সারা দেশ থেকে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ সময় ২ হাজার ৫০০ লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানানো হয়েছে।

কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী নিয়োজিত আছে। এই দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী জনগণের জানমাল, রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) এবং সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে রক্ষা করার পাশাপাশি যেসব দায়িত্ব পালন করছে তা হলো—পুলিশ বাহিনীকে পুনরায় কার্যক্ষম হতে সহায়তা করা। এ ছাড়া বিদেশি দূতাবাস, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কারখানাগুলোকে সচল রাখতে সহায়তা করা।’

সেনাসদরের কর্নেল স্টাফ বলেন, ‘সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত সাত শতাধিক ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছে। এতে করে দেশে দুই হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানার সবগুলো সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সেনাসদরের কর্নেল বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের বিষয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আদেশ রয়েছে।’

ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে অনেক কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসেনি।’

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা ছাড়াও এসএসএফের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসএসএফের ভারী অস্ত্র খোয়া যায়নি। কিছু পিস্তল খোয়া যায়। সেটার সন্ধান কার্যক্রম চলছে। আর পুলিশের খোয়া যাওয়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’