বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কেশবপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ঈদগায়ে বুধবার( ১৩নভেম্ব) বিকালে বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ৫ বিএনপি নেতার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে । দোয়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা কাউন্সিলর আসাদ, কাড়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ লিটন, সাব্বির,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তানু ভূঁইয়া, ও সজীবের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাতে এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ইশারাত হোসেন ছোট, নিহত তানু ভূইয়ার বড় ভাই সেলিম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী, খাদেম নিয়ামুল কাদির বিলু, গোটাপাড়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা শেখ মোঃ কামাল,
গোপালগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর বিদেশী ভাষা প্রশিক্ষক শেখ রইচ-উল-ইসলাম, শেখ শাহিদ, টিটু, রুবেল মল্লিক সহ এলাকাবাসী । দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম শাইফুল ইসলাম। দোয়া মোনাজাত শেষে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে খাবার সরবরাহ করা হয়।

বাগেরহাটে পৃথক ঘটনায় দুইজনকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা।। বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ
বাগেরহাটে পৃথক ঘটনায় দুইজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুল গফ্ফার শেখ (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এ সময় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তবে কারা কেন হত্যা করেছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত আব্দুল গফ্ফার শেখ খলিশাখালী গ্রামের আফসার শেখের ছেলে।সে বিএনপি কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে খিতিশ চন্দ্র গাইন (৬৫) নামের এক চা দোকানিকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এদিন দুপুরে উপজেলার চরবড়বাড়িয়া গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।চা দোকানি খিতিশ চন্দ্র গাইন চরবড়বাড়িয়া গ্রামের নগেন্দ্রনাথ গাইনের ছেলে।স্থানীয়ভাবে জানাযায়, চা দোকানী ক্ষীতিশ গাইনের সাথে একই গ্রামের সকিনুর শেখের জমি নিয়ো বিরোধ ছিল। বেলা ১১টায় এই বিষয় নিয়ে শালীশ বৈঠক হয়। শালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংশা হয়ে যায়। সব লোকজন চলে যায়। পরবর্তীতে দুপুরের দিকে সকিনুর ক্ষিতিশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা গুরুতর আহত ক্ষীতিশ গাইনকে উদ্ধার করে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।নিহত ক্ষীতিচ গাইন চা দোকানদার বলে এলাকাবাসী
জানিয়েছে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জেরে কচুয়ায় একজন এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চিতলমারিতে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। হত্যাকারীদের আটকে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।এদিকে চিতলমারিতে হত্যাকান্ড সংগঠিত এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।